’উফ্ফ..দিন দিন একনে প্রবলেম বেড়েই যাচ্ছে, আবার ফেইসের অয়েলিনেসও একদমই যাচ্ছে না!’
যাদের একটু অয়েলি ও একনে স্কিন, তাদের জন্য এই সমস্যা খুব কমন। এমন ধরনের স্কিনের যত্ন নেয়া কিছুটা টাফ। কারণ ফেইসে স্যুট না করলে একনে আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । আর সময়টা যদি সামার সিজন হয়, তাহলে তো কথাই নেই! তাই বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করার পাশাপাশি এ ধরনের স্কিন যাদের, তারা ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্ট দিয়ে তৈরি ফেইস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। আজ আমরা একটু জানানোর চেষ্টা করবো, সামারে অয়েলি স্কিনের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানের কয়েকটি ফেইস মাস্ক সম্পর্কে।
সামারে অয়েলি স্কিনের যত্নে ফেইস মাস্ক
অয়েলি স্কিন মানেই এক্সেস অয়েল প্রোডিউস আর একনে ব্রেকআউটস হওয়া। তাই অয়েলি ও একনে প্রন স্কিনের যত্নে প্রয়োজন এমন ফেইস মাস্ক, যা এই প্রবলেমগুলোর সল্যুশন দিবে। চলুন তাহলে এমন কিছু মাস্ক সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
১) অ্যালোভেরা, হলুদ ও মধুর ফেইস মাস্ক
যা যা লাগবে
অ্যালোভেরা জেল ২ টেবিল চামচ
মধু ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো সামান্য
সবগুলো উপাদান একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার ফেইসে অ্যাপ্লাই করে অপেক্ষা করুন ১৫ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

২) ওটমিল ও শসার ফেইস মাস্ক
যা যা লাগবে
ওটস গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
শসার রস ১ টেবিল চামচ
মধু ১ টেবিল চামচ
সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিক্স করে নিন। যেহেতু সামারে ইউজ করছেন তাই কুলিং ইফেক্ট পেতে অ্যাপ্লাইয়ের আগে আধা ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। এবার ফেইসে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ১৫/২০ মিনিট। জেন্টলি স্ক্রাব করে পানি দিয়ে ভালোভাবে ফেইস ধুয়ে নিন। ১৫ সেকেন্ডের বেশি স্ক্রাব করার প্রয়োজন নেই।
ওটস এক্সেস অয়েল কমিয়ে এক্সফোলিয়েটরের কাজ করে। ওটসে Saponin নামে একটি কম্পাউন্ড আছে, যা ন্যাচারাল ক্লেনজার হিসেবে কাজ করে। শসা স্কিন ময়েশ্চারাইজড ও হাইড্রেটেড রাখে। এছাড়াও পোরস সাইজ রিডিউস করতে এবং পোরসে জমে থাকা ডার্ট ও ইমপিওরিটিস এক্সট্র্যাক্ট করতে হেল্প করে শসা। সামারে অয়েলি স্কিনের যত্নে এই মাস্কটি বেশ কার্যকর।

৩) টকদই ও মুশুরের ডাল গুঁড়া
যা যা লাগবে:
টকদই ২ টেবিল চা-চামচ, সাথে এক চা চামচ ডাল গুঁড়া
দুটো ইনগ্রেডিয়েন্ট ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। চোখ ও ঠোঁটের এরিয়া বাদ দিয়ে ফেইসে অ্যাপ্লাই করে নিন। ১৫ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪) সুদিং জেল:
এখন আমাদের সারাদিন কাজের শেষে এমন প্যাক বানানো অনেকের জন্যে বেশ কঠিন ব্যাপার। এজন্য ঝটপট একটু স্কিন কেয়ার করে নেয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন Moringa Brightening Cool Soothing Gel., পেয়ে যাবেন আমাদের কাছেই।
এটি আপনার ত্বককে টানটান ও ময়শ্চারাইজ করবে, প্রাকৃতিকভাবে ত্বক উজ্জ্বল করবে, ত্বক রোদে পোড়া ভাব কমিয়ে দেবে, ব্রণের দাগ দূর করবে , মেস্তার ছোপ ছোপ কালো দাগ দূর করবে, রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বক সারাবে, ঝুলে যাওয়া ত্বককে টানটান করবে এবং সূর্যের আলো এবং চুলার তাপ থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
এতে আপনি পাবেনঃ ফোর ইন ওয়ান সুবিধা। এটিকে হোয়াইটেনিং সুথিং জেল,
হোয়াইটেনিং ক্রিম, হোয়াইটেনিং টোনার বা হোয়াইটেনিং সিরাম হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি অন্যান্য সুথিং জেলের মতো 20 মিনিট ব্যবহার করতে হবে না। সারাদিন বা সারারাত লাগাতে পারেন। এটি শুধুমাত্র ক্রিমের মতো ব্যবহার করুন। সুথিং জেল মূলত কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আর জেল দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রয়োগ করে ত্বককে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব। সুথিং জেল মূলত ত্বকে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করলে সুথিং জেল ত্বকের ক্ষতি করে না। এটি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে। এটা সব ধরনের ত্বকের জন্য।
Moringa Brightening Cool Soothing Gel , এটি যেকোনো ত্বক-এর জন্য উপকারী।

গুণগত উপাদানঃ ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, সজন পাতা, থানকুনি পাতা, ঘৃতকুমারী এবং গাজরের নির্যাস (Thankuni leaves, Aloevera and carrot extract) । এছাড়াও এতে রয়েছে, নিয়াসিনামাইড এবং গ্লিসারিন।
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
1: Cleanse – আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি মৃদু ক্লিনজার/ফেসওয়াশ দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে নিন।
2: Tone– টোনার পরিষ্কার করার পরে ত্বকের পিএইচ শান্ত এবং সুষম রাখতে সাহায্য করে।
3: Treatment- আপনার ত্বকের জন্য সিরাম/ফেসিয়াল অয়েল/এসেন্সে দরকারী পুষ্টি রয়েছে
4: Moisturize- মরিঙ্গা উজ্জ্বল করে শীতল প্রশান্তিদায়ক জেল
আপনার আঙ্গুলের উপর অল্প পরিমাণে প্রশান্তিদায়ক জেল স্কুপ করুন। সমানভাবে বিতরণ ঘষা. পুরো মুখে মসৃণ করুন, সম্পূর্ণরূপে শোষিত না হওয়া পর্যন্ত ম্যাসেজ করুন।
5: Sun care – UV রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন প্রয়োগ করুন (শুধুমাত্র দিনের সময়)