হাতঘড়ির  ফ্যাশন

সময় যতই আধুনিক হোক বা প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক না কেন , হাতঘড়ির আভিজাত্য ফ্যাশনের দুনিয়ায়  খুবই জনপ্রিয় শৌখিনদের কাছে হাতঘড়ির মানে, অন্যরকম একটা অনুভূতি শুধু  তরুণরাই নয়, এখন সব বয়সী মানুষের হাতে এখন ঘড়ি বেশ শোভা পায় মোবাইল ফোনের ডিজিটাল স্ক্রিন না দেখে এখন আমরা হাত উল্টিয়ে ঘড়ি দেখি সামর্থের সঙ্গে মিল রেখে ফ্যাশনের একটা অংশ হিসেবে  ঘড়ি কিনছেন অনেকে। ঈদের জামা/কাপড়ের সাথে এখন কালার মিলিয়ে ঘড়িও চাই আমাদের।  আপনি যে পোশাকই পরেন তার সাথে যদি একটা ঘড়ি পরেন দেখবেন আপনার আউটলুকটাই বদলে গেছে। আপনাকে অন্য আর দশটা মানুষ থেকে একটু আলাদা ভিন্ন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ মনে হবে। এতে করে কিন্তু আপনাকে শুধু সুন্দরই লাগবে না, প্রকাশ পাবে আপনার রুচিশীল ব্যক্তিত্ব!

হাতে ঘড়ি পরার অভ্যাস আছে? তাহলে কিছু জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

. মেয়েরা নাকি ঘড়ি পরে বামহাতে, আগে এমনটাই বলা হতো। কিন্তু এখন সময় পালটে গিয়েছে। পালটে গিয়েছে ফ্যাশনের সংজ্ঞা। তাই পছন্দের শাড়ি কিংবা ড্রেসের সঙ্গে যে হাতে পরতে মনে চাইবে, সেই হাতেই পছন্দের ঘড়িটি পরবেন।

. বড় ঘড়ির ট্রেন্ড এখন অনেকটাই জনপ্রিয়। আপনার পছন্দ যদি বড়ো ডায়াল হয়, অবশ্যই সেটাই আপনি পরবেন। কেও যদি বলে আপনার হাত ছোট মানাবে না“…..উঁহুঁ, এটা ভুল কথা !! কনফিডেন্সের সাথে ক্যারি করাটাই smartness

. এখন কর্পোরেট বা প্রফেশনাল লাইফে হাতঘড়িটা বেশ ফ্যাশনাবল। একটা সুন্দর ঘড়ি হাতে থাকলে অনেকের নজর কেড়ে নেয়। স্মার্টনেসের পরিচয়ও বটে।

ঘড়ি, যেকোনো আউটফিটের সাথে মানায়।  সেটা শাড়ি হোক, সেলোয়ার  কামিজ হোক বা ওয়েস্টার্ন ড্রেস হোক।

.এখন অনেকেই একটু লুজ/ঢিলা বেল্ট পরতে পছন্দ করেন। আবার অনেকে ফিটিং করেও পরে থাকে। আপনি চাইলে দুইভাবেই পরতে পারেন, যেটা আপনার হাতে কমফোর্টেবলে মনে হবে।

Women Gift Watch

ঘড়ি কি আসল না নকল? নাকি কপি?

অনেকেই একদম আসল ঘড়ি কিনতে চান, যেটাকে বলে ব্র্যান্ডেড ঘড়ি।  কিন্তু দেখা যায় সাধ সামর্থ্যের মধ্যে গন্ডগোল লেগে যায়। কারণ একটা ব্র্যান্ডেড ঘড়ি মানে , প্রায় বিশ না ত্রিশ হাজার টাকা।  যেটা অনেকের জন্যই অসম্ভব হয়ে যায়। এজন্য এখন কাস্টমারের চাহিদা বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন পেজ ওনাররা, বা শোরুমের ব্যবসায়ীরাও কপি ওয়াচ গুলোর দিকে ঝুঁকছে

এগুলা দেখতে সুন্দর, দাম টাও থাকে হাতের নাগালে, একসাথে অনেকগুলা কিনে রাখা যায়..আবার মেইনটেইন করাও অনেক সহজ। যেকোনো লোকাল ঘড়ি সারাই দোকান থেকে ব্যাটারিও চেঞ্জ করে নেয়া যায়। বাংলাদেশে এখন কপি ওয়াচ গুলোর অনেক বেশি ডিমান্ড। কিন্তু এখানেও ব্যাপার থাকে, কিছু প্রোডাক্ট আনা হয় সরাসরি ইম্পোর্ট করে। আবার কিছু ঘড়ি আমাদের লোকাল মার্কেটেও বানায়ে বিক্রি করা হয়।  এটা বোঝার কোনো উপায় থাকে না ছবি দেখে ,যে কোনটা ইম্পোর্ট করা বা কোনটা লোকাল বাজারে তৈরী করা। ব্যবহার করার পর আসলে বুঝতে পারা যায়।

এজন্য ঘড়ি কেনার সময় অবশ্যই দামটা মাথায় রাখতে হয়, একই জিনিস আপনি ৫০০ তাকে কিনছেন, আর অন্য একজন ১৫০টাকায় কিনছে। এতে করে একটু হলেও কোয়ালিটিটা বোঝা সহজ হয়।

A Fashion Watch With Some Makeup Tools
Fashion Watch For Women

ঘড়ির দাম নির্ভর করে ব্র্যান্ডের ওপর। বাজারে যেসব ব্র্যান্ডের ঘড়ি মেলে তার মধ্যে রয়েছে এম কে (মাইকেল কর্স) টাইটান, ফাস্টট্র্যাক, ওমেগা, ওরিয়েন্ট, রোমার, টিসোট, ইয়াডোর্,গুচি, এমিকা, ফসিল, ডিজেল, কন্টেনা, কোয়াটার্জ  আরো অনেক  ব্র্যান্ডের ঘড়ি ছাড়াও চীন থেকে আমদানি করা ননব্র্যান্ড কালারফুল সিলিকন, চেইন কাপড়ের বেল্টে তৈরি বিভিন্ন ঘড়ি পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যেই আপনি বেছে নিতে পারবেন আপনার পছন্দের যেকোনো একটি ঘড়ি। আমাদের পেজটিও ঘুরে আসার আমন্ত্রণ রইলো। এখানে পেয়ে  পছন্দের ঘড়িটি ,আশা করি আপনাদের ভালোও লাগবে।